এবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান রহমান বলেছেন, ‘২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে জুলুমের রাজত্ব শুরু হয়েছিল। যার সমাপ্তি হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, যেটাকে আমরা জুলাই এবং আগস্ট বিপ্লব বলছি। সেখানে শত শত যুবককে অন্ধ করে দেয়া হয়েছে, মেরুদণ্ডে গুলি করে অবশ করে দেয়া হয়েছে। যারা আর কোনোদিন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়ার আলতাফুন নেছা খেলার মাঠে শহর জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের শহর শাখার আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেকের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী।
তিনি আরও বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বেশি বেশি করে বলতেন আর ফেরি করতেন, তারাই এদেশের যুবকদের জীবন্ত শহিদে পরিণত করেছেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যে দল ১৮ কোটি জনগণের দিকে গুলি ছুড়েছিল, সেই জনগণের কাছে তাদের আর ভোট চাওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নাই। তাদের নাম আর বাংলাদেশের জনগণ শুনতে চায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাদের গুলির পরোয়া করেনি, সেই দুর্ধর্ষ খুনিদের এদেশের মাটিতে মানুষ আর প্রকাশ্যে হাটতে দিবে না। এর আগে সকালে একই স্থানে শফিকুর রহমান জামায়াতের শহর ও জেলা শাখার রুকন সম্মেলনেও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।